জলপাইগুড়ি:সম্পা জানা
জলপাইগুড়ি জেলা, তার নদী ও চা বাগানের জন্য পরিচিত, এখন ইউরোপ থেকে আসা পরিযায়ী পাখিদের জন্য এক নতুন গন্তব্য হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে করলা নদী, যা শহরের বুক চিরে প্রবাহিত হয়, তার জল এখন দেশীয় ও বিদেশী পাখিদের জন্য এক বিশাল আকর্ষণ কেন্দ্র। এই নদীর সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলেছে পানকৌড়ি, সারালি, দোচারা প্রভৃতি পাখির উপস্থিতি।করলা নদীর জলপাইগুড়ির টেমস নামে পরিচিত স্থানীয় নামেও পরিচিত। পূজার সময় এই নদীতে দেশীয় পরিযায়ী পাখিরা ভিড় জমায় এবং ইউরোপ থেকে আসা কিছু বিশেষ পাখির দলও এখানে এসে উপস্থিত হয়। বিশিষ্ট পরিবেশবিদ ড. রাজা রাউত জানাচ্ছেন, "করলা নদী এই অঞ্চলের অন্যতম একটি নদী যেখানে দেশীয় পরিযায়ী পাখি ছাড়াও ইউরোপ থেকে আসা পাখিরা দেখা যায়। ব্লাক হুইল্ড বাজা ও হ্যারিয়ার নামের চীল প্রজাতির পাখিরা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।"ড. রাউত আরও বলেন যে, তিস্তা ও করলা নদী ঘেঁষে কৃষিকাজের জন্য ইদুর ও ব্যাঙের সংখ্যা বেড়ে যায়, যা ইউরোপ থেকে আসা পাখিদের খাদ্য হিসেবে কাজ করে। বর্ষায় নদীর জলে ব্যাঙের সংখ্যা বাড়ে, যা এসব পাখিদের আকর্ষণ করে। ফলে, ইউরোপ থেকে আসা পাখিরা এই অঞ্চলে তাদের খাদ্য সন্ধানে আসছে এবং করলা নদীর সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে তুলছে।