আনন্দ বাংলা অনলাইন ডেস্ক: আর জি করের ঘটনা কে কেন্দ্র করে জুনিয়র ডাক্তারদের মিছিলের তাল কাটলো ধর্মতলা চত্বরে। এসএসকেএম থেকে শুরু হয়েছিল বিকেল পাঁচটা নাগাদ মিছিল ধর্মতলা ওয়াই চ্যানেলে কৌশলের পর পুলিশের সঙ্গে বচসাই জড়িয়ে পড়ে জুনিয়র ডাক্তাররা। জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ শান্তিপূর্ণ মিছিল করলেও তারা যখন মঞ্চ তৈরীর কাজ করতে শুরু করে তখন পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় বচসা। শেষ পর্যন্ত পুলিশ তাদের কয়েকজনকে হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ। সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তাররা হোয়াই চ্যানেলে ধর্নায় বসে পড়েন। সন্ধ্যার কলকাতা এক রকম অবরুদ্ধ হয়ে যায়। মনে করা হয়েছিল যে ডাক্তাররা এই মিছিলের পর তাদের কর্ম বিরতি তুলে নেবে। যদিও বেশ কিছুক্ষণ অবস্থান চলার পর জুনিয়র ডাক্তাররা জানান, কর্মবিরতি তারা আপাতত তুলে নিলেও, রাজ্য সরকার যদি তাদের দাবি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে না মানে তাহলে তারা আমরণ অনশনে যাবেন।
উল্লেখ্য আর জি করের পড়ুয়া ডাক্তারি ছাত্রী ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার বিচারের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে জুনিয়র ডাক্তাররা। ৯ আগস্ট নির্যাতিতা খুন হয়েছিলেন আর কি কর হাসপাতালে । তারপর থেকে একের পর এক রাত দখল প্রতিবাদ মিছিলে মুখরিত হয়েছিল কলকাতার রাজপথ।
শুক্রবার ও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি এসএসকেএম থেকে মিছিল যখন শুরু হয়েছিল তখন জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে সিনিয়র ডাক্তারদেরও দেখা গেছে। মিছিলে পা মিলিয়ে ছিলেন সাধারণ মানুষও। শেষ পর্যন্ত মিছিলের তাল কাটলো পুলিশের সঙ্গে বসসার পরে। কিন্তু তারপরও প্রত্যাশিত কর্মবিরতি প্রত্যাহার হলো। কিন্তু কর্মবিরতি প্রত্যাহার হলেও আমরণ অনশনের কথা ঘোষণা করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। যদি ১০ দফা দাবি রাজ্য সরকার মেনে না নেয় তাহলে জুনিয়র ডাক্তাররা আমরণ অনশনে যাবেন বলে ঘোষণা করেন। সরকার যদি এই মুহূর্তে নির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয় তাহলে অনেকটাই ব্যাকফুটে চলে যাবেন বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মত।