হঠাৎ করে ইন্ডাস্ট্রি থেকে কোথায় হারিয়ে গেলেন ‘বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না’র নায়িকা অঞ্জু ঘোষ?

post

হঠাৎ করে ইন্ডাস্ট্রি থেকে কোথায় হারিয়ে গেলেনবেদের মেয়ে জ্যোৎস্নার নায়িকা অঞ্জু ঘোষ?কেন তাকে আর পর্দায় দেখা যায় না?সত্যি কথা বলতে, এখন অঞ্জূ ঘোষকে দেখলে আপনি চিনতেই পারবেন না!বয়স যেন গিলে ফেলেছে এপার বাংলা-ওপার বাংলার এই জনপ্রিয় নায়িকাকে!এখনকার অবস্থা দেখলে আপনি সত্যিই চমকে যাবেন!কোথায় হারিয়ে গেলেনবেদের মেয়ে জ্যোৎস্না অভিনেত্রী অঞ্জু ঘোষ? চিরঞ্জিত চক্রবর্তী অভিনীত টলিউডের এই সিনেমাটি অন্যতম জনপ্রিয় একটি সিনেমা। যেখানে চিরঞ্জিতের নায়িকা ছিলেন বাংলাদেশী অভিনেত্রী অঞ্জু ঘোষ। তবে শুধুবেদের মেয়ে জ্যোৎস্নানয়, টলিউডের আরও অনেক অভিনেতার সঙ্গে একাধিক সিনেমাতে অভিনয় করেছিলেন অঞ্জু। কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি ইন্ডাস্ট্রি থেকে হারিয়েও গেলেন তিনি। ঢালিউড এবং টলিউড কাঁপানো সেই নায়িকাকে এখন দেখলে চিনতেই পারবেন না।কলকাতা এবং বাংলাদেশ কাঁপানো নায়িকা অঞ্জু ঘোষের আসল নাম অঞ্জলি। তিনি প্রায় ৩৫০ টিরও বেশি সিনেমাতে অভিনয় করেছেন। টলিউড অভিনেতাদের মধ্যে তিনি প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জী, চিরঞ্জিত চক্রবর্তী, তাপস পালদের সঙ্গেও কাজ করেছেন। বাংলাদেশের পাশাপাশি টলিউডেও তার প্রচুর সিনেমা হিট হয়েছিল। বিশেষ করে পারিবারিক সিনেমাতে অঞ্জুর অভিনয় প্রত্যেকের মনে দাগ কাটতো। আজওবেদের মেয়ে জোৎস্নানামে সবাই এক ডাকে তাকে চেনেন। এই সিনেমা সেই সময়কালে দাঁড়িয়ে ২০ লক্ষ টাকা আয় করেছিল। যা বর্তমান সময়কালে অনায়াসে ১৫০ কোটির গণ্ডি পার করে যাবে।এক সময় অঞ্জু ছিলেন বাংলা সিনেমার লক্ষ্মী। তিনি যে ছবিতেই থাকতেন, সেটাই সুপারহিট হত। প্রযোজকরা চোখ বন্ধ করে ভরসা করতেন তাকে। তারা জানতেন অঞ্জু ছবিতে থাকা মানেই লগ্নি করা টাকা ঘরে ফিরবেই। আর অঞ্জুও দায়িত্ব সহকারে ছবি রিলিজের পর দর্শকদের থেকে টাকা ঠিকই তুলে আনতেন। বাংলাদেশের সবথেকে সফল ছবিচন্দন দ্বীপের রাজকন্যাছিল তার কেরিয়ারের অন্যতম মাইলস্টোন। এছাড়াও তিনি যত সিনেমা করেছেন পরবর্তীকালে, সব সুপারহিট হয়েছে।কিন্তু একটা সময় পর অঞ্জু গ্ল্যামার দুনিয়া থেকে সরে যেতে শুরু করেন। ৯০ এর দশকের এই অভিনেত্রী বহুবছর কাজ করেননি সিনেমাতে। ২০১৮ সালে তিনি শেষবারমধুর ক্যান্টিননামের একটি সিনেমা করেন। কিন্তু ওই শেষ। এরপর তাকে আর কখনও ক্যামেরার সামনে। এখন তার চেহারাতেও অনেকখানি বদল এসেছে। এক নজরে দেখলে অঞ্জু ঘোষকে এখন অনেকেই চিনতে পারবেন না।এছাড়াও জাতিভেদের শিকার হতে হয়েছিল বাংলাদেশের এই সুন্দরী নায়িকাকে। একটি সাক্ষাৎকারে অঞ্জু নিজেই আফসোস করে জানিয়েছিলেন, “জাতি-জাতি করে একটা হিড়িক উঠেছিল হিন্দু, মুসলমান! আমি এর মধ্যে পড়তে চাইনি। কেরিয়ারে ৩৫০ ছবিতে অভিনয় করেছি। তার মধ্যে ২০০টা ছবি ছিল বাংলাদেশের। হিন্দুর বাড়ির মেয়ে হয়েও সেই ২০০টা ছবিতেই কলমা পড়ে অভিনয় করেছি। সেজেছি মুসলমানের বেটি। কিন্তু বাংলাদেশ আমাকে বলল হিন্দুর বেটি। অন্যদিকে এখানে যখন এলাম আমার গোটা প্রেজ়েন্টেশন দেখে ভারত বলল আমি মুসলমানের বেটি। ফলে হল কী, আমি ওপারে সংখ্যালঘু, এপারেও সংখ্যালঘুই থেকে গেলাম।মনে খুবই আঘাত লেগেছিল তার। তিনি বলেছিলেন, “ওপারে যখনই আমাকেহিন্দুর মেয়েকথাটা বলল, হিন্দু-মুসলমানের এত তফাত করে দিচ্ছিল, যে মনটা আমার ভেঙে গেল। আমি শিল্পী, তাই না। আমার তো কোনও জাতি নেই। আমার পরিচয় আমি কেবলই একজন শিল্পী।আবার অঞ্জু টলিউডে যখন আসতেন, তখন এপার বাংলার মানুষেরা তাকে বলতেনমুসলমানের বেটি অঞ্জুর চেহারা নিয়েও খোঁটা দেওয়া হয় তাকে। আসলে বাংলাদেশের নায়িকারা কলকাতার নায়িকাদের মত অতটা ছিপছিপে নয়। তাই সহ শিল্পীর থেকে তাকে শুনতে হয়েছিল, ‘’বাংলাদেশের সব কিছুই বড় বড়।এই কথা একেবারেই ভালো লাগেনি তার। তাই ইন্ডাস্ট্রির প্রতি প্রবল বিতৃষ্ণায় অঞ্জু অভিনয় ছেড়েই দেন।

You might also like!