পুজো এলেই বিষাদের সুর কেশপুরের প্রতিমা শিল্পীদের গলায়

post

কেশপুর:সম্পা জানা

মহালয়ার পুণ্য তিথিতে অশুর পক্ষের নিধনঘটিয়ে দেবিপক্ষের সূচনা হয়েছে ইতিমধ্যে। দিকে দিকে পূজোর আনন্দ। দেবী যাবেন বিভিন্ন প্যান্ডেলে দিন রাত এক করে তাই চলছে প্রতিমা তৈরীর কাজ পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে আকুল সাড়া গ্রামে সকাল থেকে শুরু করে ভোররাত পর্যন্ত দুর্গা প্রতিমা তৈরীর কাজ করছেন গ্রামের শিল্পীরা |যে প্রতিমা পাড়ি দেবে বিভিন্ন জায়গায় দিনে রাত পরিশ্রম করে কাজ করলে টাকা রোজগার হয় ঠিকই কিন্তু মানসিকভাবে কোথাও না কোথাও বিষাদের সুর বাজে তাদের মধ্যে| তাদের তৈরি প্রতিমা অন্য জায়গায় পাড়ি দিলেও তাদের গ্রামে হয় না দুর্গাপুজো যেখানে আক্ষেপ রয়েছে তাদের| এক প্রতিমা শিল্পী বলেন গ্রামের সব রকমের প্রতিমাই তৈরি হয় বিশ্বকর্মা ঠাকুর থেকে শুরু করে দুর্গা প্রতিমা দিনরাত পরিশ্রম করে  প্রতিমা তৈরি করে থাকি নিজের তৈরি প্রতিমা অন্য জায়গায় পাড়ি দিলেও আমাদের গ্রামে হয়না পুজো | সারা রাজ্য যখন পুজোর আনন্দে মেতে ওঠে  তখন আমাদের গ্রামে ঝরে বিষাদের সুর | একই বক্তব্য অন্য এক প্রতিমা শিল্পীর গলায় তিনি বলেন দুর্গাপূজার রেশ কয়েক মাস আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় পুজোর আয়োজন, তবে পুজো এলেই মন খারাপ শিল্পীদের। অন্ধকারে নিমজ্জিত হয় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুরের আকুলসাড়া গ্রাম। গ্রামের শিল্পীরা দুর্গা প্রতিমা বানানোর কাজ করছে সকাল থেকে শুরু করে ভোররাত পর্যন্ত। তবে দিনরাত পরিশ্রম করে কাজ করলে হয়তো টাকা রোজকার হয় ঠিকই কিন্তু মানসিকভাবে কোথাও একটা তাদের কাছে বিষাদের সূর। গ্রামের মৃৎশিল্পীরাও চায় অন্যান্য গ্রামের মতো তাদের গ্রামেও হোক দুর্গা পুজো আনন্দ উৎসবে মেতে উঠুক গ্রামের সব মানুষজন।কুমোর, প্রতিমা শিল্পী, মালি সম্প্রদায় মিলিয়ে এই গ্রামের বিভিন্ন জাতির মানুষদের বসবাসওদের মধ্যে কেউ মালা তৈরি করে, কেউ চাঁদ মালা, কেউ আবার প্রতিমা তৈরি করে। প্রত্যেকেই চায় সকলের মত তাদের গ্রামেও হোক দুর্গা পুজো আনন্দে মেতে উঠুক সকলে|

You might also like!