বাংলাদেশের নির্বাচন অনিশ্চিত। অন্তরবর্তিকালীন সরকার প্রধানের মতে আগে সংস্কার পরে নির্বাচন

post

আনন্দ বাংলা অনলাইন ডেস্ক : আগস্ট মাসেই বাংলাদেশে নির্বাচিত শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে । কোটা ভিত্তিক নিয়োগ বাতিলের দাবিতে ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়েছিল। ক্রমশ এই ছাত্র আন্দোলনের তীব্রতা এতটা বৃদ্ধি পায় যে একসময় নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ত্রাহি ত্রাহি রবে ঊর্ধ্বশাসে সরকার ছেরে পালাতে হয়। শেখ হাসিনাকেও প্রধানমন্ত্রীত্ব ছেড়ে পালাতে হয়েছে । সরকার চলে যাওয়ার পরে বাংলাদেশের যে ভয়ংকর পরিস্থিতি যে ভয়ংকর রূপ নিয়েছিল তা সংবাদমাধ্যমে সবাই অবগত। বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন বেড়ে যায়। এমনকি আওয়ামী লীগ নেতা-নেত্রীদের ওপর ও নির্যাতন কম হয়নি। একাধিক থানা লুট হয়েছে। পুলিশকে মেরে রাস্তায় টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে । এক কথায় বলতে গেলে টানা বেশ কিছুদিন ধরে অরাজগত চলতে থাকে। ছাত্র আন্দোলন কারীরা এরকম পরিস্থিতি চেয়েছিলেন কিনা সে বিষয়টা পরিষ্কার নয়। তবে বিশ্ব এই বিষয়টি হয়তো ভালোভাবে নেয়নি। বাংলাদেশের তারপরে একটি অস্থায়ী সরকার গঠিত হয়। যার নেতৃত্বে রয়েছেন ডক্টর ইউনুস একজন অর্থনীতিবিদ। রবিবার ঢাকায় বিদেশী কূটনীতিকদের সঙ্গে আলোচনায় মোঃ ইউনুস বলেন যত দ্রুত সম্ভব সাধারণ নির্বাচন করিয়ে জনপ্রতিনিধির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে তবে তার আগে কিছু ক্ষেত্রে সংস্কার প্রয়োজন। কি সংস্কার প্রয়োজন ? ইউনুসের মতে শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকতে চেয়ে শেখ হাসিনা সরকার দিনের পর দিন সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে দেশের বিচার ব্যবস্থা থেকে শুরু করে সংবাদ মাধ্যম সিভিল এডমিনিস্ট্রেশন সর্বত্র চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা হাসিনা সরকার নতুন প্রজন্মকে তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে রাজনৈতিক ছত্র ছাড়া ছায়ায় এমনকি ব্যাংক ডাকাতীয় করা হয়েছে এইসব ক্ষেত্রে ব্যাপক সংস্কার সাধন করে অবাধ নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক ভোটের আয়োজন করা হবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেছিলেন যে মোহাম্মদ ইউনুস এক্ষনি নির্বাচনে যাবেন না । সে কারণে তার যে বক্তব্য তাতেও পরিষ্কার যে তিনি খুব তাড়াতাড়ি নির্বাচন ঘোষণা করবেন না। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এরকম মনে করছেন যে এই মুহূর্তে বাংলাদেশে যে পরিস্থিতি সেই পরিস্থিতিকে সামাল দিতে বেশ কিছুটা সময় লাগবে ইউনুস এর নেতৃত্বে অস্থায়ী সরকারের। তাই পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এই অন্তরবর্তী সরকার নির্বাচন ঘোষণা করবে । মানে এই সরকার কিছুটা হলেও হাওয়া বুঝতে চাইছে। যদিও সূত্রের খবর আন্দোলনে আহত ছাত্র দের নিয়ে চিন্তিত মোহাম্মদ ইউনুস। তার মতে অন্ধকার ঠেলে এবার আমাদের এগোতেই হবে। মোহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যে একটা জিনিস পরিষ্কার নির্বাচন এক্ষুনি হচ্ছে না। তাহলে যে অস্থির পরিস্থিতি সেটা কি সামাল দিতে পারবেন ইউনুস? কতদিনে সামাল দিতে পারবে সে নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন উঠছে? ইউনূসের অন্তরগতি সরকার গঠিত হওয়ার পরেও অস্থিরতা কিছুটা কমলেও এখনো পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় চুরি ডাকাতি চলছে।

You might also like!