আনন্দ বাংলা অনলাইন ডেস্ক: শনিবার দুপুর দুটো নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় উপস্থিত হন সল্টলেকের স্বাস্থ্য ভবনের সামনে জুনিয়র চিকিৎসক দের ধরনা মঞ্চে। সেখানেই তিনি বৈঠকে বসার কথা বলেন জুনিয়র চিকিৎসক দের। দুই পক্ষের ইমেইল এর পর সিদ্ধান্ত হয় কালীঘাটে মমতার বাসভবনে এদিন সন্ধ্যে ৬ টা তে বৈঠক হবে। সেই মোতাবেক ৩০ জন জুনিয়র চিকিৎসক কালীঘাটে মমতার বাসভবনে ৭.৩০ নাগাদ পৌঁছায়। কিন্তু আবারো বাধ সাধলো সেই সরাসরি সম্প্রচার( লাইভ স্ট্রিমিং)। প্রায় তিন ঘন্টা টানা পরেনের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক দের জানান "জুনিয়র চিকিৎসকরা যে চিঠি দিয়েছিল তাতে সরাসরি সম্প্রচারের কথা ছিল না। তিনি এও বলেন যদি নাই আসো তাহলে চিঠি দিলে কেনো? আমাকে অসম্মান করেছো, এর আগেও আমি তিন দিন অপেক্ষা করে বসে রয়েছি। রাজনীতি ভুলে যাও। মানুষের স্বার্থে এসো কথা বলো। মিনিটস সই করে দেবো।আমাদের তরফে একজন সই করবে, তোমাদের তরফে ও একজন সই করবে, তোমরা যদি কথা বলতে না চাও বৈঠক করতে না চাও, করো না। অন্তত একবার ভিতরে এসে চা খেয়ে যাও।সব দাবি মানা সম্ভব নয়,কোর্টের অনুমতি নিয়ে ভিডিও দেওয়া হবে। আমার উপর ভরসা রাখো তোমাদের মিস লিড করবো না।"জুনিয়র চিকিৎসক দের দাবি কি কারণে আমদের ভিডিওগ্রাফার কে অনুমতি দেওয়া যাবে না? এটা নিরাপত্তা জোন, সেটাও আমরা মেনে নিয়েছি। তাদের তরফে যে ভিডিও তোলা হবে সেই প্রক্রিয়ার সঙ্গে আমাদের একজন প্রতিনিধি কে রাখার অনুরোধ করেছিলাম, যাতে প্রযুক্তিগত কোনো সমস্যা হলে আমারও দেখতে পারি। বৈঠক শেষে আমরা ভিডিও চেয়ে ছিলাম কিন্তু এখানে মুখ্যমন্ত্রী কে অবিশ্বাসের বিষয় নেই।যারা স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থানে বসে আছেন তাদের যাবাব দেওয়ার জন্য একথা বলেছি।
অবশেষে প্রশাসন চিকিৎসক দের সরাসরি সম্প্রচার (লাইভ স্ট্রিমিং)নিয়ে দড়ি টানাটানির পর ভেস্তে গেল দ্বিতীয় দিনের বৈঠক ও। সন্ধ্যে পর্যন্ত মনে হয়েছিল হয়তো এই বৈঠকে মিলবে সমাধান সূত্র।এরপর জুনিয়র চিকিৎসক দের আন্দোলনের গতিবিধি কোনদিকে যায় সেই দিকেই নজর রয়েছে গোটা বাংলার মানুষের।