দক্ষিণ ২৪ পরগনা:সম্পা জানা
দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমার দুর্বাচটি তৃতীয় খণ্ড গ্রামের পঞ্চায়েত এলাকায় এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটছে। এক বছর আগে, রাস্তায় পড়ে থাকা একটি ছোট শালিক পাখি বৃদ্ধা দম্পতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে। পাখিটির শারীরিক অবস্থার জন্য তারা তাকে বাড়িতে নিয়ে এসে সেবা করেন এবং নাম দেন ময়না। তখন থেকে পাখিটি তাদের পরিবারে মিশে যায় এবং ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে।মনিমা মিদ্যা বলেন প্রথমে সে বলতো কচিটকা। আমরা হাঁসকে ডাকলে, সেও আয় আয় করে আমাদের সাথে ডাকে। এখন সে মা মা করে ডাকে আর বলে বাবাকে বলে দিবো বাবাকে বলে দিবো এইরকম বলে। আর সে সব সময় শিস টানে। রাস্তা দিয়ে রোগ বেরোলে তাদের দেখে বকবক করে। পাখির নাম ময়না।ময়না এখন সম্পূর্ণরূপে তাদের পরিবারের অংশ হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন, পাখিটি বাবার মতো শিস দিয়ে গান গায় এবং মা হিসেবে আশপাশের লোকদের সঙ্গে ঝগড়া করে। গ্রামবাসীরা জানান, ময়না রাস্তার দিকে লোক গেলে তাদের দিকে বোকাঝকা করে এবং মজার গান গায়, যা এলাকায় এক আলোচিত বিষয় হয়ে উঠেছে।পাখিটির এই অভিনব আচরণ গ্রামবাসীদের কাছে এক মজার কাহিনীতে পরিণত হয়েছে। তাদের কাছে ময়না শুধুমাত্র একটি পাখি নয়, বরং একটি প্রিয় সদস্য হয়ে উঠেছে। গ্রামবাসীরা ময়নার গান ও ঝগড়ায় আনন্দ পান এবং তার আচরণ এখন গ্রামে একটি হাস্যরসের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।সুনীতা মাইতি বলেন হ্যাঁ ও কথা বলতে পারে ওর জ্বালায় আমরা রাস্তাঘাটে যেতে পারি না। কোথায় যাচ্ছ কেন যাচ্ছ ডাকবে কোথাও বেরোতে দেবে না। ওর গান শুনলে আপনারা অবাক হয়ে যাবেন। আর খুব সুন্দর গান করে। মা বাবা সবাইকে একধার থেকে ডাকবে। ওর সবকিছু জানতে হলে ওর কাছে ভালো ভাবে বসে শুনতে হবে।ময়নার এই জীবনযাপন ও আচরণ গ্রামবাসীদের জন্য এক নতুন আনন্দের উৎস, এবং এটি গ্রামজীবনের এক অদ্ভুত কিন্তু সুন্দর গল্প হিসেবে উঠে এসেছে।