প্রেমের টানে কাঁটাতার পেরিয়ে সরাসরি ওপার বাংলার গারদে,অবশেষে মুক্তির স্বাদ

post

আনন্দ বাংলা অনলাইন ডেস্ক : লায়লা-মজনু, থেকে শাজাহান-মমতাজ এমনকি রজকীনি-চন্ডিদাসের মত প্রেমের জুটির উদাহরন আজও স্মরণীয় হয়ে আছে। প্রেমের জন্য কেউ ছেড়েছে রাজমহল, কেউ গড়েছে তাজমহল। এবার প্রেমের টানে বাংলাদেশে এসে দু’বছর কারাবাস করল কলকাতার তরুনী প্রিয়াংকা।

 বাংলাদেশের এক যুবকের সঙ্গে প্রেম সম্পর্কে হয় প্রিয়াঙ্কার। প্রেম মানেনা কোন বাধা। তাই অবৈধ পথে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছিল ওই হাওড়ার ১৮ বছরের তরুণী । এরপর সীমান্তে বাংলাদেশ পুলিশ তাকে আটক করে। ঠাঁই হয় বাংলাদেশের সংশোধনাগারে। সেখানে ছিল দু’বছর। কারাবাস শেষ করে মঙ্গলবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা চেকপোস্ট সীমান্ত দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরত দেওয়া হয় এই ভারতীয় যুবতীকে।  

বাংলাদেশের নারায়নগঞ্জের হিন্দু সম্প্রদায় ভুক্ত এক যুবকের সঙ্গে গভীর প্রেমে জড়িয়ে পড়ে প্রিয়াংকার। যুবকের পিসির বাড়ি হাওড়ায় প্রেমিকার বাড়ির পাশে। হাওড়া এই প্রথম পরিচয় এবং প্রেমের শুরু। যুবকের প্রতিশ্রুতি, বিয়ের পর নারায়নগঞ্জে গামের্ন্টেসে চাকুরী দেবে প্রিয়ঙ্কাকে।  এরপর ওই যুবকের সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার জন্য বাংলাদেশে যায় ২০২২ সালের ৩ অক্টোবর। বাংলাদেশের ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে দালালের মাধ্যমে সীমান্ত পার হওয়ার সময় ধরা পড়ে বিজিবির হাতে। তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বিজিবি। আদালতে তোলা হলে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে দু’বছরের জেল হয় তরুণীর। অবশেষে ২৩ মাস পর মুক্তি পায় প্রিয়াঙ্কা। এরপর

দর্শনা সীমান্ত দিয়ে তরুণীকে বিএসএফের হাতে তুলে দেয়। প্রেমের খেসারত দিতে গিয়ে প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘সে ভুল করেছে। প্রেম করে বাংলাদেশে যে ছেলের কাছে যেতে গিয়ে ধরা পড়ে, কারাবাস হওয়ার পর সে কোনদিন একটি বারের জন্য খোঁজ নেয়নি। বাংলাদেশের যুবককে ভালোবেসে জীবন থেকে দু’বছর ঝরে গেল। তার মতো বিশ্বাস করে এই ভুল যেন কোনও মেয়ে আর না করে। প্রায় দু'বছর পর মেয়েকে কাছে পেয়ে আবেগে ভাসলো প্রিয়াঙ্কার মা এবং বাবা।

You might also like!