আনন্দ বাংলা অনলাইন ডেস্ক: অনশনের ১৫ দিনের মাথায় অবশেষে ধর্না মঞ্চে এলেন মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ, স্বরাষ্ট্র সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী। জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্মঘটের হুশিয়ারের পরের দিনই ধর্মতলার অনশন মঞ্চে পৌঁছে গেলেন রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি।
আমরণ অনশন মঞ্চে পৌঁছে মুখ্য সচিব জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার অনুরোধ করেন। কিন্তু জুনিয়র ডাক্তাররা অনর ছিলেন তাদের বক্তব্যে। তাদের পরিষ্কার বক্তব্য অনশন নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে হবে না। বরং আমাদের যে দাবি রয়েছে দশ দফা, সেই দাবি যাতে ফলপ্রসু হয় সেদিকে নজর দিন।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ও টেলিফোনে অনশনকরিদের কথা বলান মনোজ পন্থ।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে ফিরুন । আপনাদের সামনে বিরাট ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে। আমাকে ৩-৪ মাস সময় দিন। সব ব্যবস্থা করা হবে। সময় অনুযায়ী ব্যবস্থা করা হবে। মানুষ চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। দয়া করে অনশন প্রত্যাহার করুন। পুলিশ কমিশনারকে সরানো হয়েছে। একজন কেই এখনো অপসারণ করা সম্ভব হয়নি। সাত দফা দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। বাকি দাবিও ধাপে ধাপে কার্যকরী হবে। কিন্তু তার জন্য আমাকে একটু সময় দিতে হবে। অবিলম্বে আপনারা কাজে ফিরুন।
শুক্রবার সিনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকে বসে ছিলেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। সেই বৈঠকের পর জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়ে দিয়েছেন সোমবার পর্যন্ত রাজ্য সরকারকে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে রাজ্য সরকার যদি সাড়া না দেয় তাহলে মঙ্গলবার থেকে হাসপাতালে সর্বাত্মক ধর্মঘট হবে। ধর্মঘট পালন করবেন সিনিয়র এবং জুনিয়র ডাক্তাররা।