আনন্দ বাংলা অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, এবং রাঙ্গামাটিতে 'সিএইচটি ব্লকেট ' নামে ৭২ ঘন্টা অবরোধের এই কর্মসূচিকে সমর্থন জানিয়েছেন বৈষম্য বিরোধী আর ছাত্র আন্দোলন নামের সংগঠনটি।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর । বাংলাদেশের আদিবাসীদের উপর অত্যাচার চালানোর অভিযোগ করছে তারা।তার প্রতিবাদে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় সেনাবাহিনী এবং মুসলিম কট্টরপন্থীদের হামলার প্রতিবাদে আদিবাসী সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট এর ডাকা সর্বাত্তব অবরোধে স্তব্ধ হয়ে গেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম।
আদি বাসিন্দা চাকমা ও অন্যান্য জনজাতির উপর হামলা শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় অন্তত ১০ জন অমুসলিম মারা গেছেন।বাড়িঘর পোড়ানো হয়েছে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, কুকি, এবং আদিবাসী সম্প্রদায়ের হাজার হাজার বাড়িঘর। তাদের অভিযোগ বাংলাদেশের বিজেবি এবং র্যাব বাহিনী বিচ্ছিন্নতাবাদী দমনের অছিলায় অমুসলিমদের উপর নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে।
বাংলাদেশ সেনা এই ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেছেন ইউপিডিএফ অশান্তিতে প্ররোচনা দিচ্ছে। আর সে কারণেই সেনা গুলি চালাতে হতে বাধ্য হয়েছে।
আদিবাসীদের দাবি তাদের 'আদিবাসী' তকমা মুছে দেওয়ার জন্য জন্য প্রধান উপদেষ্টা মোঃ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সক্রিয় হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশে পার্বত্য চট্টগ্রামের ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
তাদের অভিযোগ চট্টগ্রামের সমতল এলাকাতেও বৌদ্ধ হিন্দু, খ্রিস্টানদের উপর হামলার ঘটনাকে ঘটছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেনা মোতায়ন করা হলেও তাতে অমুসলিম জনজাতিদের মৃত্যুর ঘটনা আরও বাড়তে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
তাদের অভিযোগ পরিকল্পিতভাবে অন্তবর্তী সরকার হিংসা ছড়িয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনবিন্যাসের চরিত্র বদলে দিতে চাইছে। তাদের অবরোধের মধ্যে শনিবার অন্তর্ভুক্তি সরকারের ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিদর্শনে গিয়েছেন।