আরজি করে পড়ুয়া চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্য জুড়ে ডাক্তারদের কর্মবিরতি, বেহাল চিকিৎসা ব্যবস্থা

post

আনন্দ বাংলা ডেস্ক : রাজ্য জুড়ে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসকেরা।

অসুস্থ হয়েই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যায় মানুষ । কিন্তু যখন পরিষেবা থাকে বন্ধ তাহলে মানুষের অবস্থা কেমন হয়। আজ মানুষের এমনই বেহাল অবস্থা চিৎসকদের কর্মবিরতির কারণে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা তারপর চিকিৎসা না পেয়ে বাড়ি ফেরা । অসহায় দুর্বল মানুষের আর্তনাদ হাসপাতাল গুলোতে। কেন হাল ফিরছে না হাসপাতাল গুলোর?

আর জি কর হাসপাতালে ঘটে যাওয়া রোমহর্ষক পৈশাচিক ঘটনার পর রাজ্য জুড়ে চলছে ছাত্র আন্দোলন। সোমবার কলকাতা হাই কোট আরজি কর ঘটনার মামলার তদন্তের ভার সিবিআই এর হাতে তুলে দিয়েছে। চিকিৎসকদের কাজে ফেরার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।

এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাসপাতালে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন যদি রাজ্য পুলিশ তদন্ত করতে ব্যর্থ হয় সে ক্ষেত্রে সিবিআই এর হাতে তুলে দেওয়া হবে মামলার ভার। তাতেও পরিবর্তন হয়নি অবস্থার। আন্দোলনের তীব্রতা আরও বাড়তে থাকে।

চিকিৎসকদের দাবি হাসপাতালে একজন পড়ুয়া চিকিৎসকের যদি এরকম ঘটনা ঘটে তাহলে সেটা মর্মান্তিক। নিরাপত্তার হীনতায় ভুগছে, অন্যান্য চিকিৎসকরা। অভিনন্দন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে রাজ্য সরকারকে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে।

আর জি কর কাণ্ডে শুধুমাত্র রাজ্য নয়, দেশজুড়েই চলছে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি। পথে নেমে প্রতিবাদ মিছিলে দেখা যাচ্ছে জুনিয়র চিকিৎসকদের। সঠিক বিচার এবং তদন্তের দাবীতে তাঁদের এই প্রতিবাদ।

তবে এই পরিস্থিতির মাঝেই এক অন্য ছবি দেখা গেল বেশ কিছু জায়গায়। কিছুদিন আগেই দেখা গিয়েছিল, তমলুক হাসপাতালে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। বুকে কালো ব্যাচ লাগিয়ে কাজ করছে্ন তারা। এবার সেই চিত্রই ধরা পড়ল উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলা সীমান্ত থেকে সুন্দরবনে। এখানে প্রায় ১০টি ব্লক রয়েছে। ৩০ লক্ষ মানুষ এর উপর নির্ভরশীল তাদের কথা চিন্তা করে মুমূর্ষু মারন ব্যধিতে আক্রান্ত রোগীরা যাতে পরিষেবা থেকে বঞ্চিত না হয় তার জন্য স্বাস্থ্য জেলা হাসপাতালে বিভিন্ন বিভাগ খোলা রয়েছে সকাল থেকে । কারণ প্রান্তিক মানুষেরা এই হাসপাতালে চিকিৎসা পায়। পাশাপাশি বিনামূল্যে ওষুধও পায়। সেই কথা মাথায় রেখে নার্স ও চিকিৎসক বিভিন্ন দপ্তরের স্বাস্থ্য কর্মী থেকে শুরু করে হাসপাতালে যেসব বিনামূল্যে সরকারি পরীক্ষায় সেইসব পরীক্ষক সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল খোলা থাকবে রোগীদের দিবা রাত্র পরিষেবা দেওয়ার জন্য।

স্বাভাবিক ভাবেই, এই পরিষেবা পেয়ে রীতিমতো খুশি সাধারণ রোগী থেকে মুমূর্ষ রোগীরা। তারা ধন্যবাদ জানাচ্ছে হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য দপ্তরের কর্মীদের।

You might also like!