আনন্দ বাংলা অনলাইন ডেস্ক: নবান্নের সভাগৃহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দু'ঘণ্টার বেশি সময় বসেছিলেন জুনিয়ার চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠকের জন্য। শেষমেষ বৈঠক আজও হলো না। জুনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন তাদের এই বৈঠক সরাসরি সম্প্রচার করার জন্য, কিন্তু প্রশাসনের থেকে তাদের এই দাবি মানা হয়নি। ঠিক সেই কারণেই আজও তারা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে বসতে রাজি হলেন না।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন "আশা করেছিলাম ছোটরা এসে কথা বলবে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সময় পেরিয়ে গেছে। রাজ্য সরকার যা করবে তাতে বাধা দেব না,জানিয়েছে সুপ্রিমকোর্ট। আমি এটাকে ঔদ্ধত্য হিসেবে দেখছি না" মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান "আমাকে অনেক অসম্মান করা হয়েছে। অনেক ভুল বোঝাবুঝি, কুৎসা হয়েছে। সাধারণ মানুষ রঙ বোঝেনি। আমি পদত্যাগ করতে রাজি আছি। কিন্তু আশা করি মানুষ বুঝেছেন, ওরা বিচার চায় না চেয়ার চায়।"
"অনেকে আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু বাইরে থেকে নির্দেশ আসছিল দুই তিন জন রাজি হয়নি, আমি মানুষের কাছে ক্ষমা চাইছি, ডাক্তারদের অনুরোধ করছি কাজে ফিরুন।"
এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাধারণ মানুষের কাছে ক্ষমা চাইলেন। হাতজোড় করে তিনি বললেন, তিন দিনেও সমাধান করতে পারলাম না। সামনে এসেও বৈঠকে এলেন না। তাদের আমি ক্ষমা করলাম। 'ডাক্তাররা ভগবান' এত এত সাধারণ মানুষ বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছেন আমার হৃদয় কাঁদছে। তিন তিনবার চেষ্টা করলাম সুপ্রিমকোর্ট রায় দিয়েছে ইতিমধ্যে ২৭ জন মারা গেছেন। ৩২ দিন হয়ে গেল অনেকেই কাজ করছেন না। লক্ষাধিক মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছেন না।ডাক্তারদের অনুরোধ করা হচ্ছে তারা কাজে ফিরুন।
দীর্ঘ টানা পোড়েন এর পর জুনিয়র চিকিৎসক এবং রাজ্য সরকারের একটা আলোচনার সম্ভাবনা তৈরি হলেও বাঘ সাধলো সরাসরি সম্প্রচার। হতাশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন জুনিয়র চিকিৎসকরা যদি এরপরে আলোচনায় বসতে চান, তাহলে স্বাস্থ্য দপ্তরের সাথে আলোচনায় বসবেন। আমি আপাতত এই আলোচনায় থাকবো না।