আনন্দ বাংলা অনলাইন ডেস্ক : আরজি কর ঘটনার জেরে সাংসদ পদ ছাড়লেন এবং রাজনীতি থেকে অব্যাহতি নিলেন জহর সরকার। এই নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠিও লিখেছেন তিনি।
আরজি করে ডাক্তারি পড়ুয়া ছাত্রীকে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় এর আগে সুর চড়িয়ে ছিলেন রাজ্যসভা সাংসদ এবং আইনজীবী সুখেন্দু শেখর রায়। কিন্তু এই প্রথম তৃণমূলের কোনো সাংসদ রাজ্যসভা সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লেখা চিঠিতে জহর সরকার বলেছেন, আমি গত এক মাস ধৈর্য ধরে আরজিকর হাসপাতালের বিভিন্ন ঘটনার বিরুদ্ধে সবার প্রতিক্রিয়া দেখেছি আর ভেবেছি, পুরনো মমতা ব্যানার্জির মত ঝাঁপিয়ে পড়ে সরাসরি জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলছেন না কেন আপনি? এখন সরকার যে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে, তা এক কথায় অতি অল্প এবং অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে"।
আর জি করের আন্দোলন বিজেপির আন্দোলন বলে যেভাবে তৃণমূলের নেতারা প্রতিবাদ করতে শুরু করেছিলেন । সেই প্রবণতার নিন্দা ও করেছেন তিনি, তিনি চিঠিতে লিখেছেন, আমার বিশ্বাস এই আন্দোলনে পথে নামা মানুষেরা রাজনৈতিক এবং স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রতিবাদ করছেন। অতএব রাজনৈতিক তকমা লাগিয়ে এই আন্দোলনকে প্রতিরোধ করা সমুচীন হবে না। এরা কেউ রাজনীতি পছন্দ করেনা। শুধু এরা বিচার ও শান্তির দাবি তুলেছেন।"
বছর দুয়েক আগে রাজ্যের নানা দুর্নীতি নিয়ে যখন শাসক দল বিদ্ধ হচ্ছিল । তখন মুখ খুলেছিলেন জহর সরকার। এবারের চিঠিতেও দুর্নীতির অভিযোগ টেনে তিনি একথা লিখেছেন।