আনন্দ বাংলা অনলাইন ডেস্ক: আরজিকরের ঘটনার পর উত্তল পশ্চিমবাংলা। সারা রাজ্য জুড়ে চলছে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ, মিছিল। তারমধ্যেই ধর্ষণ মামলায় শিলিগুড়ি মহাকুমা দেওয়ানী ও ফৌজদারি আদালত ফাঁসির সাজা ঘোষণা করল।
২০২৩ সালের ২২শে আগস্ট দুপুরে প্রকাশ দিবালোকে এক স্কুল ছাত্রীকে সাইকেল করে মাটিগাড়ার একটি পরিতক্ত্য বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষন করে খুন করে মহম্মদ আব্বাস।শুধু তাই নয়,যাতে ওই ছাত্রিকে কেউ চিনতে না পারে তার জন্য তার মাথা ইট দিয়ে থ্যাতলা করা হয়।তার পরেই সিসি ক্যামেরার সাহায্য নিয়ে ঘটনায় অভিযুক্ত মহম্মদ আব্বাসকে গ্রেফতার করে মাটিগাড়া থানার পুলিশ। শুরু হয় মামলা।
প্রায় ৯মাস মামলা চলার পর অবশেষে শিলিগুড়ি আদালত মহম্মদ আব্বাসকে দোষী সাব্যস্থ করে।একজন ছাত্রী, একজন পুলিশের সাক্ষি সহ সমস্থ প্রমানের উপর ভিত্তি করে আদালত তাকে দোষী সাব্যস্থ করে। শুক্রবার তার সাজা ঘোষণা হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়ে ওঠেনা।
শনিবার মোহাম্মদ আব্বাসকে ধর্ষণ করে খুনের মামলায় শিলিগুড়ি মহাকুমা দেওয়ানী ও ফৌজদার আদালতে ফাঁসির সাজা ঘোষণা করে।
এদিন রায় ঘোষণার পর সরকারি আইনজীবী বিভাস চ্যাটার্জি বলেন ডিফেন্স পক্ষের লইয়ারের কারণে প্রায় দু মাস দেরি হলো। তা না হলে মামলার রায় ঘোষণা আরো আগেই হাত । এই মামলার রায় ঘোষণা হতো বলে জানান তিনি। দুটি ধারাতে আব্বাসের ফাঁসি সাজা হয়েছে বলে জানান আইনজীবী তার মধ্যে একটি পকসো অ্যাক্ট এবং IPC ৩০২ ধারায় এই সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। আদালত এই মামলাটিকে রেয়ার এন্ড রেয়ার কেস হিসেবে ধরেছে । যার কারণে আব্বাসের ফাঁসির সাজা ঘোষণা করেছে আদালত।